বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ১১ আগস্ট (সোমবার) ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিজিবি সেক্টরপাড়ায় স্থানীয় দৈনিক আজকের সূত্রপাত পত্রিকার সাংবাদিক ও মিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ (৬০)-এর ওপর পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার নিজ বাড়ির সামনে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী মিলন ও তার সহযোগীরা লোহার রড, হাতুড়ি ও ইট দিয়ে ফিরোজ আহমেদের মাথা, হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং এখনও শঙ্কামুক্ত নন।
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব খান সেলিম রহমান এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন”সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে কেবল একজন মানুষের ওপর আক্রমণ নয়, এটি সত্য, ন্যায় ও জনগণের জানার অধিকারের ওপর নগ্ন আঘাত। একজন সাংবাদিক যখন সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে কলম ধরে, তখন তিনি আসলে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। সেই কণ্ঠস্বরকে রক্তাক্ত করার অর্থ হলো সত্যকে গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা। এ ধরনের বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত হামলা শুধু ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মুক্ত চিন্তার পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি। আমি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের প্রতি দৃঢ় আহ্বান জানাচ্ছি—দোষীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের ওপর হামলা করার সাহস না পায়।
বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর
প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহিদুল হাসান সরকার এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন “একজন দায়িত্বশীল, অভিজ্ঞ ও জনস্বার্থে নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিকের ওপর এমন নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা কেবল একটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা নয়; এটি আসলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা এবং মুক্ত তথ্য প্রবাহের ওপর সরাসরি আঘাত। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক—তারা নিরলসভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন, দুর্নীতি উন্মোচন করেন, সাধারণ মানুষের সমস্যাকে তুলে ধরেন। অথচ আজও তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়, এমনকি নিজ বাড়ির সামনে হামলার শিকার হতে হয়। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানাই—অবিলম্বে হামলাকারী মিলন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে এমন শাস্তি দিন, যা হবে সবার জন্য এক কঠিন সতর্কবার্তা। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু প্রশাসনের দায়িত্ব নয়, এটি একটি সভ্য সমাজের মৌলিক শর্ত।