বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও তিনজনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধার পর কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মো. তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলায় অজ্ঞানামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী তরিকুল ইসলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন। গত (৪ আগস্ট)-২০২৪ ছাত্র আন্দোলনে তিনি আহত হয়েছিলেন বলে জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (৫ আগস্ট)- ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত সদর থানায় ১৫টি সহ জেলায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৪ হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে।
নতুন মামলাটির প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান, সাবেক সভাপতি লিমন ঢালী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজার সেতু থেকে শহীদি মসজিদ এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসহ সাধারণ জনতাসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় বাদীসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ নানাভাবে আহত হন। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত হন।