কিশোরগঞ্জে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ সুমন মাহমুদ এবং তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (১২ মার্চ)-২০২৫ বেলা ১২ তার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালতের সামনে গৌরঙ্গবাজারের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী (হকার) ও হারুয়া এলাকাবাসির উদ্দ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘’সুমন মাহমুদ’’ও তার সহযোগীরা ছাত্র-জনতার উপর সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়।
এদিকে ক্ষমতার পালাবদল হলেও চাঁদা দেওয়ার রেওয়াজ বদল হয়নি । গত ৫ আগস্ট এর পর থেকে কিশোরগঞ্জের গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় সড়কে ,ভ্যানে, ব্রীজে, কিছু হকার ব্যবসা করে জিবীকা নির্বাহ করে আসছে। প্রায় সময় সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা এসে এই হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন। হকাররা বলেন, আগে আওয়ামী লীগের লোকজন প্রতিটি ভ্যান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা এবং মাসে ৩০০০ টাকা নিতেন। এবং প্রতিটি ভ্যান গাড়ী থেকে এককালীন ২৫০০০ (পচিশ হাজার) থেকে ৩০০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা করে নিতেন। এখন বিএনপি পরিচয়ে কিছু লোক দৈনিক ১০০/১৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন।
বিএনপির নাম ব্যবহার করে জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিম মাহমুদ হারুন, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকারিয়া মাহমুদ ঝুমন এর হুকুমে গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ রাত ৯:০০ ঘটিকার সময় ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্র রিয়াদ আহমেদ রাহুলের কাছ থেকে চাঁদা আনতে গেলে রাহুল চাদা দিতে অস্বীকার করায় রাহুলের হাতের কবজি কেটে দিয়েছে এই সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ দুপুর ১:৩০ ঘটিকার সময় গৌরাঙ্গবাজারের হকার ৫ নং ওয়ার্ড বি এন পির ৩৭ নং সদস্য খলিল এর কাছ থেকে চাঁদা আনতে গেলে খলিল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় খলিলকে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। পরে তার হাত-পা ভেঙ্গে নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায়।
অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তাদের ভাইদের নামে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা সহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, মাদক, ধর্ষণ সহ ৮/১০ টা মামলা বিচারাধীন আছে। সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং মোবাইল ফোনে হকারদের চাঁদা দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। অবিলম্বে সুমন মাহমুদ ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন এই হকাররা।