কিশোরগঞ্জের এক পরিবারের চারজন জন্মগত কাদিয়ানী আহমদিয়াত ত্যাগ করে ইসলামের ছায়াতলে ফিরে এসেছেন। ইসলামের ছায়াতলে আসা ব্যক্তিরা হলেন, মো: জাকির হোসেন বাবুল, ছেলে মো: আব্দুল্লাহ, বাবুলের স্ত্রী ও তার এক মেয়ে। তারা সবাই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী এলাকায় ‘খতমে নবুওয়ত’ এর দা’ঈ মাও.আবু সুফিয়ান, মাও সা আদ এর কাছে কালিমা পড়ে ইসলামের ছায়া তলে ফিরে আসেন তারা। এ সময় মহিনন্দ ইমাম ও উলামা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কাসেমুল উলুম জোবায়দা কওমী মাদরাসার মোহতামীম মাও নোমান আহমেদ, গালিমগাজী বাগে জান্নাত নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো: নাদিম হোসাইন, হাফেজ আবু হোরায়রাসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কাদিয়ানিদের কেউ ইসলাম ধর্মে ফিরে এলে তাদের সাক্ষ্য নেয়া হয় এভাবে যে,আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা’বুদ নেই,হযরত মুহাম্মাদ (স:) আল্লাহ তা’লার বান্দা ও সর্বশ্রেষ্ট এবং সর্বদিক থেকে সর্বশেষ রাসুল। তার পরে নতুন করে অন্য কেউ নবী হিসাবে আসবেনা। আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানী মতবাদ একটি কুফুরী মতবাদ এবং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন মিথ্যুক নবুওয়ত দাবীদার। আমি স্ব-ইচ্ছায় আহমদিয়া মুসলিম জামাত তথা কাদিয়ানী মতবাদকে কুফুরী ধর্ম জেনে কাদিয়ানী ধর্মকে পরিত্যাগ পরিলাম এবং ইসলাম কবুল করিলাম। তার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই,তার সকল দাবীনামা অস্বীকার করিলাম। মহিনন্দ ইমাম উলামা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাও নোমান আহমেদ বলেন, দীর্ঘ বছর যাবত মহিনন্দ ইউনিয়নের গালিমগাজী এলাকায় কয়েকটি পরিবার কাদিয়ানী ছিলেন। ইতোমধ্যে অনেকেই মুত্যু বরণ করেছেন। এরমধ্যে বাবুল ও তার পরিবার কাদিয়ানী ছিলো। আজ তওবা করে কাদিয়ানী আহমদিয়াত ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এখন আমাদের এলাকার সকল মুসলমানদের দায়িত্ব হলো এই পরিবারের পাশে থাকা।