শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জে ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ১২৬৭তম সভা অনুষ্ঠিত। পাগলা মসজিদের দানবক্সে মিলেছে ৩২ বস্তা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার অপরাধীর অপরাধের সর্গরাজ্য ধ্বংস করার জন্য কলমই সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্র। কোটালীপাড়া দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ক্ষোভ প্রকাশ। কুমিল্লায় নারী সাংবাদিক আখির উপর সন্ত্রাসী হামলা : বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ লেখক বিভুরঞ্জন সরকার এর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)। কিশোরগঞ্জের বৌলাইয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত কিশোরগঞ্জে আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার রক্তের সম্পর্ক থাকলেই শুধু,মানুষ আপন হয়না কিশোরগঞ্জে গণধর্ষণকারী ও চাঁদাবাজ সুমন র‍্যাবের হাতে আটক

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্সে ২৯ বস্তা টাকা জমা পড়েছে

রিপোটারের নাম :
সময়সূচি: শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের এবার ১১টি লোহার দানবাক্সে জমা পড়েছে ২৯ বস্তা টাকা। টাকা ছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাসহ ডায়মন্ড ও স্বর্ণ রূপার বিভিন্ন অলংকার। এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য ফরিয়াদির চিঠি।

শনিবার (৩০ নভেম্বর ) ২০২৪ সকাল ৯ টায় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত। দিনব্যাপী উক্ত টাকা গণনায় জামিয়া ইমদাদিয়া ও পাগলা মসজিদ মাদরাসার ২৫০ জন ছাত্র, মসজিদের স্টাফ, শিক্ষক , ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী , সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য এতে অংশগ্রহন করেন।
এর আগে গত (১৭ আগস্ট ) ২০২৪ শনিবার ৯টি লোহার দানবাক্স থেকে পাওয়া ২৮টি বস্তায় গণনা শেষে মিলেছিলো ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা ।

কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনের আশা পূরণ হয়। আর সে কারণে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষজন এখানে দান করে থাকেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খালি হওয়ার পর থেকে পরবর্তী খোলার সময় পর্যন্ত ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে নজরদারি করা হয়। এবং ডিভাইসগুলো সবসময় সচল রাখা হয়। পুলিশের টহল টিম কাজ করে। এবং গণনার দিন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ব্যাংক পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয় মসজিদের আশেপাশের এলাকা।
মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদে দানের টাকার পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল দান করা হয়। এবং প্রতিদিন আসরের নামাজের পর দানকৃত এসব পশু নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখানে অনলাইনের মাধ্যমে দান করার কোন ব্যবস্থা নাই। যা দান হয় সরাসরি দান করতে হয়। পাগলা মসজিদের প্রতি মানুষের এমন আবেগ আছে বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ইসলামিক কমপ্লেক্স স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কমপ্লেক্সটি নির্মাণ হলে যেখানে একসাথে ত্রিশ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। সকল অর্থ ব্যাংকে জমা থাকে অর্থের লভ্যাংশ এখানকার সাধারণ মানুষের উপকারে ব্যয় করা হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য সকলকে দান করার আহ্বানও জানান তিনি।


বিস্তারিত পড়ুন :
এক ক্লিকে বিভাগের খবর